স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার সাভারে ৬০নং ইমান্দিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জাহিদের দূর্নীতি অনিয়ম ও অসদাচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে স্কুল উন্নয়নের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, দূর্নীতি মাধ্যমে স্লিপ ফান্ডের টাকা আত্মসাত, অনিয়ম ও অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত ইমান্দিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহেদুল ইসলাম। আর তার এই কাজের সহযোগী ছিল বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইবনে মাসুদ। সে তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী শাহানা ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ম্যানেজিং কমিটির গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাংগুল দেখিয়ে অবৈধ উপয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হন জাহেদুল ইসলাম। কমিটিতে দাতা সদস্যদের নাম থাকার কথা থাকলেও ভুয়া একজনকে দাতা সদস্য সাজিয়ে প্রভাব খাটিয়ে কমিটি তৈরী করেন। পরে দুই দফায় প্রধান বিদ্যালয়ের সরকারি অনুদান খাতের (স্লিপ ফান্ড) ৯৮ হাজার টাকা আত্মসাত করেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা ইরফান মাসুদ জানায়, বৈধ ভাবেই ওই কমিটি হয়েছিল। টাকা আত্মসাতের অভিযোগও সঠিক নয়। আমরা যে টাকা উত্তোলন করেছি সব টাকার কাজ করেছি। সব কাজের ভাউচার আছে। বরং প্রধান শিক্ষক গাজী শাহানা ইসলাম একজন দূর্নীতিবাজ। সেই স্লিপ ফান্ডের টাকা আত্মসাত করেছে। কিন্তু সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে তারা যে কাজের কথা বলছে তার তেমন কোন প্রমান পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী শাহানা ইসলাম জানান, ওই কমিটি যখন হয় তখন অসুস্থ্যতার কারনে আমি ছুটিতে ছিলাম। আর তখন ভারপ্রাপ্ত প্রাধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইবনে মাসুদ। কমিটি করার পরই সভাপতি জাহেদুল ইসলাম সরকারী অনুদান (স্লিপ ফান্ডের) ৬৩ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য চেকে স্বাক্ষর করতে আমাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। ছুটি শেষে স্কুলে এসে চেক সই করে দিবো, তখন সভাপতি জাহেদুল আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।
পরে সভাপতি জাহেদুল ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইরফান মাসুদ সাভার মডেল থানায় চেক হারানোর সাধরণ ডায়েরী করে ব্যাংক থেকে নতুন চেক বই উত্তোলন করে ৬৩ হাজার টাকা উত্তোলন করেছে। তবে কোথায় খরচ করা হয়েছে তার কোন নথি স্কুলে পাওয়া যায় নাই। এভাবে সরকারী টাকা আত্মসাৎ করার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে প্রধান শিক্ষকের সাথে মারমুখি আচরণ করে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। পরবর্তীতে আরও ৩৫ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা। আমার কমিটিও বৈধ ছিল। যে টাকা উত্তোলন করেছিলাম তার কাজ করেছি, সব ভাউচার আছে।
Leave a Reply